১। বন্দীর আত্মীয় স্বজন বন্দীর সাথে দেখা সাক্ষাত করতে আসলে জেল সুপার বরাবর আবেদন করতে হবে।
২। যারা আবেদন করতে না পারবেন তাদের জন্য রিজার্ভে দায়িত্বরত কারারক্ষীরা তাদের আবেদন করতে সাহায্য করবেন।
৩। বন্দীর সাথে দেখা সাক্ষাতের সময় ২০ মিনিট।
৪। কয়েদী আসামীদের সাথে তাদের আত্মীয় স্বজন মাসে ০১ বার এবং হাজতী বন্দীদের সাথে ১৫ দিন অন্তর মাসে ০২ বার দেখা করতে পারবেন।
৫। বন্দীর সাথে তার মামলা সংক্রান্ত ব্যপারে তার উকিল কথা বলতে পারবেন।
৬। অসহায় বন্দীদের জন্য আইনগত সহায়তা দানের ব্যবস্থা আছে।
৭। প্রতি দিন সকাল ৯.০০ ঘটিকা হতে বিকাল ৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত বন্দীদের সাক্ষাত করানো হয়।
২। বন্দিদের সাথে দেখা-সাক্ষাত সংক্রান্ত: (ক)আত্মীয়-স্বজনরা হাজতি বন্দির সাথে ১৫ দিন অন্তর অন্তর একবার করে দেখা করতে পারে। (খ) আত্মীয়-স্বজনরা কয়েদী বন্দির সাথে মাসে একবার দেখা করতে পারে। (গ) ডিটেন্যু ও নিরাপদ হেফাজতী বন্দিদের সাথে দেখা করতে হলে। সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। (ঘ) দেখা সাক্ষাত সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের মধ্য শেষ করতে হবে এবং সর্বচ্চ ৫ জন একজন বন্দির সাথে দেখা করতে পারবে। (ঙ)বন্দিদের সাথে দেখা করার জন্য কোন প্রকার টাকা-পয়সা লেন-দেন নিষিদ্ধ।যদি কউ টাকা দাবী করে তাহলে জেল সুপার/জেলারকে অবহিত করবেন। (চ)মোবাইল,মদগাঁজা,হেরোইন,ফেনসিডিল নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ধারালো অস্ত্র , টাকা-পয়সা, রান্না করা খাবার ইত্যাদি নিয়ে সাক্ষাত কক্ষে প্রবেশ করা যাবে না। (ছ) বন্দিদের সাথে সাক্ষাত প্রার্থীদের দেখা সাক্ষাত প্রক্রিয়া দুর্ণীতি মুক্ত করা হয়েছে। (জ)বন্দিদের সাথে তার কৌশুলির দেখা সাক্ষাতের সুযোগ প্রদান করা হয়। (ঝ)বন্দিদের সাথে সাক্ষাতের জন্য জেল সুপার বরাবরে আবেদন করতে হবে। যারা আবেদনপত্র লিখতে সক্ষম নন তাদের সহায়তা করার জন্য রিজার্ভ গার্ডে কর্তব্যরত কারা কর্মচারী সহায়তায় স্লিপের মাধ্যমে দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন। (ঞ) নির্দিষ্ঠ সময়ের পূর্বে বা পরে দুর-দুরান্ত থেকে আগত সাক্ষাত প্রার্থীদের বন্দিদের সাথে সাক্ষাতের জন্য সাধারণত মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে অনুমতি প্রদান করা হয়। (ট) কারাগারে আটক বন্দি অথবা কারো সম্বন্ধে কোন তথ্য জানতে চাইলে কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থিত রিজার্ভ গার্ডে কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষি সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। (ঠ) সাক্ষাত প্রার্থীদের সহজে এবং ন্যার্য মূল্যে নিত্ত প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সরবরাহের লক্ষ্যে প্রত্যেক কারাগারে একটি করে ক্যান্টিন/দোকান চালু করা হয়েছে যাতে আগত সাক্ষাত প্রার্থীদের নিত্ত প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ন্যার্য্য মূল্যে ক্রয় করে বন্দিদের সরবরাহ করতে পারেন। এতে একদিকে যেমন কারাগারে অবৈধ দ্রব্যাদি প্রবেশ করতে পারেনা, অন্যদিকে সাক্ষাত প্রার্থী সহজলভ্য ও সতেজ জিনিস ক্রয় করতে পারেন। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, আত্মীয় স্বজন কর্তৃক দুর-দুরান্ত থেকে বন্দিদের আনীত খাবার বাসি হয়ে যায় যা খেলে বন্দিরা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। (ড)সাক্ষাত-প্রার্থী কর্তৃক বন্দিদের জন্য দেয় মালামাল যথাযথভাবে ও যত্ন সহকারে বন্দির নিকট পৌঁছানো নিশ্চিত করা হয়।
(৩)বিশ্রামাগারের ব্যবস্থাঃ (ক)প্রত্যেক কারাগারে বন্দিদের সাথে আগত সাক্ষাত-প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার রয়েছে। (খ)বিশ্রামাগারে পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা,বৈদ্যুতিক পাখা, পানি এবং টয়লেটের সু-ব্যবস্থা রয়েছে। (গ)অফিসে কোন প্রয়োজনীয় সংবাদ পৌঁছাতে হলে প্রধান ফটকের বাইরে রিজার্ভ গার্ডে কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষির মাধ্যমে তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
৪। পিসিতে টাকা জমাদান পদ্ধতিঃ (ক)কারাগারে আটক বন্দিদের ব্যক্তিগত তহবিলে (পিসি) অর্থ জমা রাখার প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা রয়েছে। (খ)কেউ কারাগারে আটকবন্দিদেরপিসিতে টাকা জমা করতে চাইলে ডাকযোগে মানি অর্ডার করতে পারবেন। (গ)ব্যক্তিগতভাবেও বন্দির আত্মীয়-স্বজন পিসিতে অর্থ জমা দিতে পারবেন। (ঘ)রিজার্ভ গার্ডে কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষির সহযোগিতায় এই অর্থ জমা দেয়া যাবে। অর্থ জমাদানের ব্যাপারে কোন প্রকার বাড়তি ফি প্রদান করতে হয় না।
৫। ওকালতনামা স্বাক্ষর প্রসঙ্গেঃ (ক)ওকালতনামা স্বাক্ষরের ব্যাপারে অবৈধ অর্থের লেনদেন রোধের জন্য প্রত্যেক কারাগারে প্রধান ফটকের সামনে ওকালতনামা দাখিলের জন্য বাক্স রাখা হয়েছে। (খ)নির্ধারিত সময় অন্তর অন্তর বাক্স খুলে ওকালতনামা স্বাক্ষরান্তে বন্দির কৌসুলী/আত্মীয়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়। (গ)ওকালতনামায় বন্দির স্বাক্ষরের জন্য কোন অর্থের প্রয়োজন হয় না। যদি কউ এ ব্যাপারে কোন অর্থ দাবী করে তাহলে তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি রিজার্ভ গার্ডে কর্তব্যরত প্রধান কারারক্ষি অথবা সরাসরি জেল সুপার/জেলার এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
|